নিজের রুমে নিজের মানুষ ঢুকতেও রামকৃষ্ণ আশ্রমের সন্ত্রাসীদের পারমিশন?
রামকৃষ্ণ আশ্রমের ছাত্রাবাসে আমি ১৩ মাস ছিলাম। আমি থাকতাম সেসময়ের ২১৪ নাম্বার রুমে। রুমে ৪টা সিট ছিল। যখন আমার ১২ তম মাস শেষ হয়ে ১৩ তম মাসের প্রথম দিন, তখন আমি ব্যাতিত আমার ৩ জন রুমমেটকে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। আর এই ১৩ তম মাসটিই ছিল রামকৃষ্ণ আশ্রমের ছাত্রবাসে শেষ মাস। এটা শুধু আমার রুমে না। অধিকাংশ রুমেই ছাত্রদের সিট পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। যতটুকু জানি, এটা রামকৃষ্ণ আশ্রমের রুলস।
নব্য ৩ জন রুমমেট অনার্সের ছাত্র এবং একই সাথে জব করে। কিন্তু কি জব করে? ১ জন ফার্মেসীর দোকানে মেডিসিন বিক্রি করে, ১ জন তার কাকার হার্ডওয়্যার দোকানে কামলা খাটে, আরেকজন কি করত আমার তা মনে পড়ছে না। এইগুলা নাকি জব 🤣🤣 তো যিনি কাকার দোকানে কামলা খাটত তার নাম বাপ্পি। রুমে এসেই প্রথম দিন অন্য দুজনের সামনে আমাকে থ্রেটিং গলায় বলে- আদিত্য, তোমার কাছে যারাই আসুক না কেন সে তোমার বড় ভাই হোক বা আশ্রমের বন্ধু হোক বা কলেজের বন্ধু হোক, তাদেরকে এই রুমে ঢুকাতে হলে আমার পারমিশন নিয়ে ঢুকাবা।
আমি শুনে তো অবাক! বললাম দাদা, এইটা তো ঠিক না। আপনিও ভাড়া দিয়ে থাকেন আর আমিও ভাড়া দিয়ে থাকি, আপনিও কলেজের ছাত্র আর আমিও কলেজের ছাত্র। এতদিন আশ্রমে থাকি আপনি তো এরকম রুলস করতে পারেন না। ছাত্রাবাসে দুজনের সমান অধিকার। আর এইরকম রুলস আশ্রমের দ্বিতীয় কোনো রুমেও নাই। এমনকি আশ্রমের নিজস্ব রুলসেও নাই।
আশ্রমের পোষা সন্ত্রাসী আমাকে আরো বেশি করে ধমকাতে শুরু করলো। অথচ আমার বাবা রামকৃষ্ণ আশ্রমের ওই সময়ে রানিং কমিটির সদস্য পদে ছিলেন। আমিও থ্রেটের রিপ্লাই দিলাম, আমার বাবা রানিং কমিটির সদস্য, তুই না, তোর বাপ ও না, তোর চৌদ্দগুষ্টি ও না যে তুই রুমে ঢুকে রুলস চালু করে গুন্ডামি করবি। পারলে একটা চুল ছিড়ে দেখা।
আর এই বাপ্পিই আমার নামের সাথে মোবাইলের চার্জার চোর ট্যাগ লাগিয়ে আশ্রমে অপপ্রচার চালায়। একটা মোবাইলের চার্জারের দাম কত? হয়ত ১০০ টাকা থেকে শুরু। আরে কামলা খাটা ভিখারি বাপ্পি, এখন যে শো অফ করবো তা শুধুমাত্রই তুই বাপ্পি তোর জন্য। আমি আদিত্য চক্রবর্তী কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার। আমি একজন শিক্ষকের ছেলে। আমার মা সরকারি চাকুরিজীবি। আমার মাসিক ইনকাম সিক্স ডিজিট। আমার বসার চেয়ারার দাম সিক্স ডিজিট। আমার iPhone এর দাম সিক্স ডিজিট। আমি মান্থলি কামাই সিক্স ডিজিট। আমার বেডরুমের প্রতিটি এসির দাম লাখ টাকার কাছাকাছি। বাকিগুলা আর নাইবা বললাম। আর রামকৃষ্ণ আশ্রমের পোষা তোর মত একটা গুন্ডা, সন্ত্রাস, ভিখারি কিনা বলে আমি আদিত্য তোর ওই ২০০০ টাকা দামের Symphony মোবাইলের ১০০ টাকার চার্জার চোর। এইটা হাস্যকর। আরে আমার পোষা কুকুর ডেইলি একটা করে দেশি মুরগী খায়। যেটা তোর ৮/৯ টা চার্জারের দামের সমান।
আশ্রমের তথাকথিত কমিটি সেই বাপ্পি বলতে অজ্ঞান। বাপ্পি ভালো ছেলে। সে তো গাঁজা, বিড়ি খায় না। সে সারাদিন টাকার জন্য অনেক কস্ট করে কাকার দোকানে কামলা খাটে 🤣 বাপ্পির বিরুদ্ধে কোনো একশন গ্রহণ করা হয়নি। তাহলে আমি কি বলতে পারিনা, দোকানের কামলা খাটা বাপ্পি ছিল রামকৃষ্ণ আশ্রমের পোষা সন্ত্রাসী? আর আমাকে নির্যাতন করার জন্যই তো আমাকে না জানিয়ে এইরকম সন্ত্রাসীদের সিট আমার রুমে দেওয়া হয়েছিল?
প্রথমদিন রুমে এসেই যদি এমন কর্মকান্ড হয়, তাহলে আপনারা চোখ বন্ধ করেই বুঝে নিন ওই ১৩ তম মাসটি রামকৃষ্ণ আশ্রমে কেন আমার শেষ মাস ছিল? পর্ব-৪ এ লিখবো আমার প্যান্টে এসিড নিক্ষেপ করা নিয়ে। রামকৃষ্ণ আশ্রমের মদদে বেড়ে উঠা সন্ত্রাসীরা কতবড় কুলাঙ্গার হলে আমার প্যান্টে এসিড নিক্ষেপ করে?
এবার আশ্রমের ভিখারি আর দালালেরা এসে বলবে- আপনি পুলিশ কেস কেন করেননি, হেন করেননি, তেন করেননি, ব্লা ব্লা ব্লা।
আরে কুত্তা তো দল বেধে ১০০ টা আসে। কিন্তু বাঘের বাচ্চা বাঘ সবগুলারে খাওয়ার জন্য একাই আসে। পাতার নাম পুদিনা… 😉