আমরা কম বেশি সবাই জানি কৈলাস পর্বত হচ্ছে শিবের বাসস্থান। আসলেই কি কৈলাস পর্বত শিবের বাসস্থান?
পরমেশ্বর সদাশিব যখন ব্রহ্মাকে সৃষ্টির কাজ করতে আদেশ দেন তখন ব্রহ্মা প্রথমেই কয়েকজন মানসপুত্রের সৃষ্টি করলেন। কিন্তু তারা সকলেই সংসার-বৈরাগী হলেন। এতে ব্রহ্মা ক্ষেপে যান। ব্রহ্মা ক্রোধে রোদন করতে থাকেন। তার ফলে সৃষ্টি হয় মহাদেবের। যেহেতু ব্রহ্মার রোদন থেকে মহাদেব উৎপন্ন হয়, তাই মহাদেবের নাম হয় “রুদ্র”।
রুদ্র সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেন- আপনার মনে কি দুঃখ সৃষ্টি হয়েছে? আমাকে তা’ বলুন। আমি তা’ অবশ্যই দূর করব। ব্রহ্মা তাঁর ওই কথা শুনে বললেন- হে দেব, আমার মনে হচ্ছে, সৃষ্টিতে বাধার সৃষ্টি হবে। অতএব আপনি এমন ব্যবস্থা করুন – যাতে সৃষ্টি বাধাশূন্য হয়। লোকের দুঃখহারী সৃষ্টিকর্তা হিতকারী হয়ে বললেন, আমি এই সৃষ্টিকে চিরস্থায়ী করব।
সেই রুদ্র নামে প্রসিদ্ধ সুখরূপী স্বয়ং মহাদেব ব্রহ্মাকে এই কথা বলেই নিজের পারিষদদের নিয়ে কৈলাস পর্বতে চলে গেলেন।
পরমেশ্বর সদাশিবের একটি রূপ “রুদ্র” কৈলাস পর্বতে অবস্থানরত।
রেফারেন্স- ওঁ নমঃ শিবায় (স্বামী যুক্তানন্দ)/শ্রীশ্রীশিবের আত্মপ্রকাশ